শিক্ষা যে কোন জাতিকে সারা বিশ্বের নিকট পরিচয় করিয়ে দেয়। একটি জাতিকে শিক্ষিত করার জন্য প্রয়োজন একজন শিক্ষিত মায়ের। নেপোলিয়ন বলেছেন “তোমরা আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও আমি একটি শিক্ষিত জাতি দিব”।
মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হাতিয়া একটি দ্বীপ। চারিদিকে সাগর দ্বারা একটি দ্বীপের সহজ সরল সাধারন মানুষ গুলোকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর পথ দেখাতে ১৯৬৬ সালে হাতিয়ার চর্ঈশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মরহুম মাছউদল হক খান এদেশের গরিব, দুঃখী মানুষের কথা চিন্তা করে এবং অত্র দ্বীপে শিক্ষার আলো জ্বালাতে তাহার পিতা মরহুম খান সাহেব ছৈয়দ আহমদ মিয়ার নামে অত্র বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। মুলত এর সুচনা করেন মাছউদঃল হক খান। একটি বট বৃক্ষের নিচে তিনি প্রখন পাঠশালাচি শুরু করেন। পরবর্তীতে এটি হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে যেতে থাকে এবংতার এই স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দেন তারই পিতা জনাব মাছউদল হক খান। তিান বিদ্যালয়টির জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করে দেন। ১৯৭৩ সালে এটি জুনিয়র এবং ১৯৭৮ সালে 9ম শেণীর স্বীকৃতি লাভ করে। বর্তমানে ৯ম শেণীতে ৩টি বিভাগ সহ ৬,৭,৮ম শেণীতে 2টি করে শাখা রয়েছে।
এছাড়াও তিনি ছৈয়দিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছৈয়দিয়া জামে মসজিদ, ওছখালী খান সাহেব ছৈয়দিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর পুর্ব হালিমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাহমুদা খানম ফোরকানিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ত্যকালীন সময়ে এটিউ ছিল হাতিয়ার দক্ষিণ অঞ্চলের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। হাতিয়া ছাড়াও সন্দ্বীপ, রামগতি, মনপুরার বহু শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াতে এ বিদ্যালয়ের অবদান অপরিসীম। বিদ্যালয়টি দেশের অগ্রগতিতে গুরুত্তপুর্ণ ভুমিকা পালন করছে।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। শিক্ষার পাশাপাশি সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী সহ সামাজিক উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের দূর্বার গাতিতে এগিয়ে চলছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ২৩জন শিক্ষক/কর্মচারীসহ ২টি পাকা ভবন, ২টি টিন সেড ভবন, ৪টি সেনেটারি টয়েলেট, ১টি গভীর নলকুপ, ১টি বিজ্ঞানাগার, ১টি কম্পিউটার ল্যাব, ১টি লাইব্রেরী সহ ডিজিটাল শিক্ষার জন্য রয়েছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম। খেলাধুলার জন্য রয়েছে সামনে একটি প্রসস্থ মাঠ। তাছাড়া ও রয়েছে ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি মসজিদ। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে ৫৫০জন ছাত্র/ছাত্রী রয়েছে। শতভাগ পাসসহ জিপিএ ৫ এর ধারা অক্ষুণ্ন রয়েছে। ২০১৬ সালে বিদ্যালয়টি ৫০ বছরে পদার্পন করবে।