বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
শিক্ষা যে কোন জাতিকে পরিচয় করিয়ে দেয়। একটি জাতিকে শিক্ষিত করা সহজ কাজ নয়।মূল ভু-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হাতিয়া একটি দ্বীপ। চারিদিকে সাগর দ্বারা বেষ্টিত একটি দ্বীপের সহজ সরল সাধারন মানুষ গুলোকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর পথ দেখাতে ১৯৬৬ সালে হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মরহুম মাছউদল হক খান এদেশের গরিব, দুঃখী মানুষের কথা চিন্তা করে এবং অত্র দ্বীপে শিক্ষার আলো জ্বালাতে তাহার পিতা মরহুম খান সাহেব ছৈয়দ আহমদ মিয়ার নামে অত্র বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও তিনি ছৈয়দিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছৈয়দিয়া জামে মসজিদ, ওছখালী খান সাহেব ছৈয়দিয়া সরকারী হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তৎকালীন সময়ে এটিই ছিল হাতিয়ার দক্ষিণ অঞ্চলের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। হাতিয়া ছাড়াও সন্দ্বীপ, রামগতি, মনপুরার বহু শিক্ষাথীর মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াতে এ বিদ্যালয়ের অবদান অপরিসীম। বিদ্যালয়টি দেশের অগ্রগতিতে গুরুত্তপুর্ন ভুমিকা পালন করছে।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। শিক্ষার পাশাপাশি সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী সহ সামাজিক উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ডে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ১৪জন শিক্ষক, ২টি পাকা ভবন, ২টি টিন সেড ভবন, ৪টি সেনেটারি টয়লেট, ১টি গভির নলকুপ, ১ টি বিজ্ঞানাগার, ১টি কম্পিউটার ল্যাব, ১টি লাইব্রেরী সহ ডিজিটাল শিক্ষার জন্য রয়েছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম। খেলাধুলার জন্য রয়েছে সামনে একটি প্রসস্থ মাঠ। তাছাড়া ও রয়েছে ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি মসজিদ। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে ৫৫০জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। শতভাগ পাসসহ জিপিএ ৫ এর ধারা অক্ষুণ্ণ রয়েছে।২০১৬ সালে বিদ্যালয়টি ৫০ বছরে পদার্পন করবে।
পরিশেষে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সেই মহামানব, এই দ্বীপের কৃতি সন্তান, সময়ের মহাপুরুষ, অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জনাব মরহুম মাছউদল হক খান কে। এই মহাপুরুষের বিদেহী আত্নার মাগাফেরাত কামনা করছি এবং অত্র প্রতিষ্ঠানের সফলতা কামনা করছি।
নুর মোহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম
প্রধান শিক্ষক
বুড়িরচর ছৈয়দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়
হাতিয়া, নোয়াখালী ।